নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ | সূরা আন-নূর ২৪:৩২ | Surah An-Nur 24:32
আয়াত ও সূরা সম্পর্কে | সূরা আন-নূর ২৪:৩২
বিষয় | নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ |
সূরার নাম ও নম্বর | সূরা আন-নূর (২৪) |
সূরার ধরণ | মাদানী সূরা |
আয়াত নম্বর | ৩২ |
রুকু সংখ্যা | ৯ টি |
পারা বিস্তৃতি | ১৮ |
মোট আয়াত সংখ্যা | ৬৪ টি |
وَأَنكِحُوا۟ ٱلْأَيَـٰمَىٰ مِنكُمْ وَٱلصَّـٰلِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَآئِكُمْ ۚ إِن يَكُونُوا۟ فُقَرَآءَ يُغْنِهِمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ ۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌۭ ٣٢আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।Marry off the ˹free˺ singles among you, as well as the righteous of your bondmen and bondwomen. If they are poor, Allah will enrich them out of His bounty. For Allah is All-Bountiful, All-Knowing.
সূরা আন-নূর এর ৩২ নম্বর আয়াতের বিস্তারিত
তোমাদের মধ্যে যাদের স্বামী-স্ত্রী নেই, তাদের বিবাহ দাও[1] এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ, তাদেরও।[2] তারা অভাবগ্রস্ত হলে, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। [3] আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। [1] أَيَامَى শব্দটি أَيِّم শব্দের বহুবচন। আর أَيِّم এমন মহিলাকে বলা হয়, যার স্বামী নেই। যার মধ্যে কুমারী, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা সবাই শামিল। এমন পুরুষকেও أَيِّم বলা হয়, যার স্ত্রী নেই। আয়াতে অভিভাবকদেরকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে যে, ‘বিবাহ দাও।’ ‘বিবাহ কর’-- এ কথা বলা হয়নি; যাতে সম্বোধন সরাসরি বিবাহকারীকে করা হত। এ থেকে জানা যায় যে, মহিলারা অভিভাবকের অনুমতি ও সম্মতি ছাড়া নিজে নিজে বিবাহ করতে পারবে না। যার সমর্থন হাদীসসমূহেও পাওয়া যায়। অনুরূপভাবে কেউ কেউ আজ্ঞাবাচক শব্দ থেকে দলীল গ্রহণ করে বলেছেন যে, বিবাহ করা ওয়াজেব। আবার কেউ কেউ মুবাহ ও মুস্তাহাব বলেও অভিহিত করেছেন। তবে যাদের বিবাহের শক্তি-সামর্থ্য আছে, তাদের জন্য বিবাহ সুন্নতে মুআক্কাদাহ; বরং কোন কোন অবস্থায় ওয়াজেবও হয়। আর এ থেকে একেবারে যে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাকে শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে। নবী (সাঃ) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নত হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার উম্মতের মধ্যে নয়।’’ (বুখারী ৫০৬৩, মুসলিম ১০২০ নং) [2] এখানে 'সৎ' বলতে ঈমানদারকে বুঝানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে যে, মালিক বিবাহ দেওয়ার ব্যাপারে দাসীকে বাধ্য করতে পারে কি না? কেউ বাধ্য করার পক্ষে আবার কেউ তার বিপক্ষে। তবে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে শরিয়তের দৃষ্টিতে বাধ্য করা বৈধ; অন্যথা অবৈধ। (আইসারুত তাফসীর) [3] অর্থাৎ, শুধু দারিদ্র্য ও অর্থের অভাব বিবাহে বাধার কারণ হওয়া উচিত নয়। হতে পারে বিবাহের পর আল্লাহ তাআলা নিজ কৃপায় তার দরিদ্রতাকে ধনবত্তায় পরিবর্তন করে দেবেন। হাদীসে এসেছে যে, তিন ব্যক্তি এমন আছে, যাদেরকে আল্লাহ অবশ্যই সাহায্য করে থাকেন; বিবাহকারী, যে পবিত্র থাকার ইচ্ছা করে। লিখিত চুক্তিবদ্ধ দাস, যে চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধ করার নিয়ত রাখে। এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী। (তিরমিযীঃ জিহাদ অধ্যায়) ~ তাফসীরে আহসানুল বায়ানরেফারেন্স | সূরা আন-নূর ২৪:৩২
কোনো ভুল পেলে রিপোর্ট করুন!
ছবি ডাউনলোড টিপস: উপরের ডাউনলোড করুন বাটনে ক্লিক করুন। পরবর্তী পেইজে ছবিটি আপনার ব্রাউজারে ওপেন হবে। ছবিটির ওপর প্রেস করে ধরে রাখুন। তারপর 'Download Image/Save Image' এ ক্লিক করুন। তাহলেই ছবিটি ডাউনলোড হয়ে যাবে। (টিউটোরিয়াল দেখুন)