পার্থিব ভোগ সামান্য | সূরা আন-নিসা ৪:৭৭ | Surah An-Nisa 4:77
আয়াত ও সূরা সম্পর্কে | সূরা আন-নিসা ৪:৭৭
বিষয় | যে তাকওয়া অবলম্বন করে তার জন্য আখেরাতই উত্তম |
সূরার নাম ও নম্বর | সূরা আন-নিসা (৪) |
সূরার ধরণ | মাদানী সূরা |
আয়াত নম্বর | ৭৭ |
রুকু সংখ্যা | ২৪ টি |
পারা বিস্তৃতি | ৪ থেকে ৬ পর্যন্ত |
মোট আয়াত সংখ্যা | ১৭৬ টি |
أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ قِيلَ لَهُمْ كُفُّوٓا۟ أَيْدِيَكُمْ وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ ٱلْقِتَالُ إِذَا فَرِيقٌۭ مِّنْهُمْ يَخْشَوْنَ ٱلنَّاسَ كَخَشْيَةِ ٱللَّهِ أَوْ أَشَدَّ خَشْيَةًۭ ۚ وَقَالُوا۟ رَبَّنَا لِمَ كَتَبْتَ عَلَيْنَا ٱلْقِتَالَ لَوْلَآ أَخَّرْتَنَآ إِلَىٰٓ أَجَلٍۢ قَرِيبٍۢ ۗ قُلْ مَتَـٰعُ ٱلدُّنْيَا قَلِيلٌۭ وَٱلْـَٔاخِرَةُ خَيْرٌۭ لِّمَنِ ٱتَّقَىٰ وَلَا تُظْلَمُونَ فَتِيلًا ٧٧আপনি তাদেরকে দেখেননি যাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘তোমরা তোমাদের হস্ত সংবরণ কর, সালাত কায়েম কর [১] এবং যাকাত দাও [২] ?’ অতঃপর যখন তাদেরকে যুদ্ধের বিধান দেয়া হল তখন তাদের একদল মানুষকে ভয় করছিল আল্লাহকে ভয় করার মত অথবা তার চেয়েও বেশী এবং বলল, ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান কেন দিলেন? আমাদেরকে কিছু দিনের অবকাশ কেন দিলেন না[ ৩]?’ বলুন, ‘পার্থিব ভোগ সামান্য [৪] এবং যে তাকওয়া অবলম্বন করে তার জন্য আখেরাতই উত্তম [৫]। আর তোমাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও যুলুম করা হবে না।’Have you not seen those who were told, "Restrain your hands [from fighting] and establish prayer and give zakah"? But then when fighting was ordained for them, at once a party of them feared men as they fear Allah or with [even] greater fear. They said, "Our Lord, why have You decreed upon us fighting? If only You had postponed [it for] us for a short time." Say, The enjoyment of this world is little, and the Hereafter is better for he who fears Allah. And injustice will not be done to you, [even] as much as a thread [inside a date seed]."
সূরা আন-নিসা এর ৭৭ নম্বর আয়াতের বিস্তারিত
তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘তোমরা তোমাদের হস্ত সংবরণ কর, (যুদ্ধ বন্ধ কর,) যথাযথভাবে নামায পড় এবং যাকাত দাও।’ অতঃপর যখন তাদেরকে যুদ্ধের বিধান দেওয়া হল, তখন তাদের একদল আল্লাহকে ভয় করার মত অথবা তার অপেক্ষা অধিক মানুষকে ভয় করতে লাগল। আর তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান কেন দিলে?[1] কেন আমাদেরকে আর কিছু কালের অবকাশ দিলে না?’[2] বল, ‘পার্থিব ভোগ অতি সামান্য এবং যে ধর্মভীরু তার জন্য পরকালই উত্তম। আর তোমাদের প্রতি খেজুরের আঁটির ফাটলে সুতো বরাবর (সামান্য পরিমাণ)ও যুলুম করা হবে না।’[1] মক্কায় মুসলিমদের সংখ্যা ও যুদ্ধসামগ্রীর স্বল্পতার কারণে যুদ্ধ করার মত যোগ্যতা ছিল না। তাই তাদের যুদ্ধ করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে তা থেকে বিরত রাখা হয় এবং দু’টি বিষয়ের প্রতি তাদেরকে তাকীদ করা হয়। প্রথমঃ কাফেরদের অত্যাচারমূলক আচরণকে ধৈর্য ও হিম্মতের সাথে সহ্য করে তাদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন কর। আর দ্বিতীয়টি হল নামায, যাকাত সহ অন্যান্য ইসলামী নির্দেশাবলীর উপর আমল করার প্রতি যত্ন নাও। যাতে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর আল্লাহর সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে হিজরতের পর মদীনায় যখন মুসলিমদের সম্মিলিত শক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তাঁদেরকে জিহাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়। আর এই অনুমতি পাওয়ার পর কেউ কেউ দুর্বলতা ও উদ্যমহীনতা প্রকাশ করে। তাই আয়াতে তাদেরকে তাদের মক্কী জীবনের আকাঙ্ক্ষার কথা স্মরণ করিয়ে বলা হচ্ছে যে, এখন এই মুসলিমরা জিহাদের নির্দেশ শুনে ভীত-সন্ত্রস্ত কেন অথচ জিহাদের এই নির্দেশ তো তাদের ইচ্ছানুযায়ী দেওয়া হয়েছে? কুরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যাঃ আয়াতের প্রথম অংশ যাতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের হস্ত সংবরণ কর এবং যথাযথভাবে নামায পড়।’ কেউ কেউ এটাকে দলীল বানিয়ে বলে যে, নামাযে রুকূ থেকে উঠার সময় হাত দু’টিকে (কাঁধ বা কান পর্যন্ত) উঠানো নিষেধ। কেননা, মহান আল্লাহ কুরআনে নামাযের অবস্থায় হাতকে সংযত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। এটা সীমাহীন বিভ্রান্তিকর এবং অপ্রাসঙ্গিক অন্তঃসারশূন্য প্রতিপাদন। এতে তারা আয়াতের শাব্দিক এবং আর্থিক উভয় প্রকারের পরিবর্তনও ঘটিয়েছে! নাঊযু বিল্লাহি মিন যালিক। [2] এই আয়াতের দ্বিতীয় আর এক অর্থ হল, কেন এই নির্দেশকে আরো কিছু দিনের জন্য বিলম্ব করা হল না। অর্থাৎ, اَجَلٍ قَرِيْبٍ এর অর্থ মৃত্যু অথবা জিহাদ ফরয হওয়ার সময়কাল। (তাফসীর ইবনে কাসীর) ~ তাফসীরে আহসানুল বায়ান
রেফারেন্স | সূরা আন-নিসা ৪:৭৭
কোনো ভুল পেলে রিপোর্ট করুন!
ছবি ডাউনলোড টিপস: উপরের ডাউনলোড করুন বাটনে ক্লিক করুন। পরবর্তী পেইজে ছবিটি আপনার ব্রাউজারে ওপেন হবে। ছবিটির ওপর প্রেস করে ধরে রাখুন। তারপর 'Download Image/Save Image' এ ক্লিক করুন। তাহলেই ছবিটি ডাউনলোড হয়ে যাবে। (টিউটোরিয়াল দেখুন)